জিয়া যুবকদের হাতে অস্ত্র ও টাকা তুলে দিয়ে রাজনীতিকে কুলশিত করেছে -কবির বিন আনোয়ার

মনির খাঁন।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কবি নজরুল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও কেন্দ্রীয় আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ।

আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক রৌশন আলী মাষ্টার। এতে জেলা, উপজেলার আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও কেন্দ্রীয় আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার বলেন জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রধান বেনিফিসিয়ারী। জিয়া শাসন ক্ষমতায় এসে রাজনীতির নামে যুবকদের হাতে অস্ত্র ও টাকা তুলে দিয়ে এ দেশের রাজনীতিকে কুলশিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর আমলে বাপেক্স গঠন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা ছিলো এদেশের তৈল ও গ্যাস ক্ষেত্র গুলো থেকে আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা তৈল ও গ্যাস উত্তোলন করবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাপেক্স থেকে ৬শ ইঞ্জিনিয়ার সহ সাড়ে ১১শ জনকে ছাটাই করে এ গুলো বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক যুগে বাংলাদেশ অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালীন সময় ও বিশ্বের নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষের জন্য শেখ হাসিনা মডেল হিসাবে কাজ করছে। বর্তমানে দেশে সাড়ে ৩ কোটি মানুষকে বয়স্ক, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাবে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের বিষয়টি ভোটারদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারী কর্মীদেরকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।

তিনি আ’লীগের নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্যে বলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে ১৪% ভোটারের কাছে সরাসরি ভোটারের কাছে গিয়েছিলাম এবারের নির্বাচনে শতভাগ ভোটরের কাছে যেতে পারব। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল বলে মনেকরি না। তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারা দল পরিচালনা করে না। তারা কোনো নিয়ম কানুন মানে না। ‘ সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, অপ-প্রচার করছে এগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে গত ১৪ বছরে অনেক কাজ হয়েছে যা গত একশত বছরেও হয়নাই। এ জনপদ ৩হাজার বছর আগে থেকেই একটি সভ্য জাতি ছিল। মহাস্থানগড় ও ময়নামতির প্রাচীন নিদর্শন আবিস্কারের ফলে এটাই প্রতিয়মান হয়। আমাদের সম্পদের লোভে বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ব্রিটিশ ও পাকিস্থানিরা আমাদের সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মের পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধিনতার জন্য দিনক্ষন শুরু হয়।

১৯৭১সালের ৭মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু যে অগ্নি স্ফুলিঙ্গবানী দিলেন তা গ্রহন করে এ দেশের মানুষ স্বাধিনতার যুদ্ধে যাপিয়ে পড়ে ৯মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধিন করেছে। দেশের স্বাধিনতার জন্য এদেশের মানুষ অনেক রক্ত দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি ঐক্য হলে কেউ বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের নেতা কর্মীরা জাসদে প্রবেশ করে জ্বালাও পোড়াও শুরু করে।তারা বর্তমানে বিরোধী দলের সাথে মিশে আবারো জ্বালাও পোড়াওয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুর আমলে ‘১৯৭৫ সালে জিডিপি গ্রোথের হার ছিলো বার্ষিক ৯.৫%। যা এখন পর্যন্ত আর অর্জন করা যায়নি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন বলেন স্বাধিনতা যুদ্ধের সময় বিএনপি ছিলো না জাতীয় পার্টি ছিলো না। আগামীতেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page